খাবারে থুতু, প্রস্রাব ও নোংরা বস্তু মেশানোর অভিযোগের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে ভারতের দুই রাজ্য। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত দুই রাজ্য উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ চলতি মাসেই এই বিষয়ে ঘোষণাও করেছে।
উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ড জানিয়েছে, এই জাতীয় ঘটনায় অভিযুক্তকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। অন্যদিকে, এই সমস্যা মোকাবিলা করতে উত্তর প্রদেশ কঠোর আইন আনতে চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, স্থানীয় খাবারের দোকানে ও রেস্তোরাঁর খাবারে থুতু ফেলছেন বিক্রেতারা। অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, রান্না করা খাবারে প্রস্রাব মেশাচ্ছেন ওই বাড়ির কাজে নিযুক্ত এক কর্মী।
এই ভিডিওগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। কেউ এই দুই রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার এই ভিডিওর মাধ্যমে মুসলমানদের নিশানা করে দোষারোপ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এই ভিডিওতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইটগুলো তা খারিজ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগগুলো মিথ্যা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওগুলোর মধ্যে একটায় যে গৃহকর্মীকে খাবারে প্রস্রাব মেশাতে দেখা গিয়েছিল, সেখানে কেউ কেউ দাবি করেছিলেন ওই নারী মুসলমান। ‘ফ্যাক্ট চেকিং ওয়াবসাইটে’ এই দাবি সঠিক নয় বলে জানানো হয়েছিল। পরে পুলিশও জানিয়েছে ওই নারী একজন হিন্দু।
একদিকে কর্মকর্তাদের যুক্তি যে খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রয়োজন যাতে এ জাতীয় অস্বাস্থ্যকর বিষয় বন্ধ করা যায়। অন্যদিকে, বিরোধী নেতা এবং আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকে আবার ভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। তারা এই আইনগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন তেমনই এই অভিযোগও করেছেন যে কোনও একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করার জন্য আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post