উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী দেশটির উপকূলীয় এলাকা থেকে অন্তত ১৬ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। দেশটির মালোলেচ, সালাকতা ও চেব্বা শহর লাগোয়া উপকূল থেকে ওই অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সোমবার উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে।
তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হোসেম এডিন জেবালি রয়টার্সকে বলেছেন, সোমবার উপকূলীয় এলাকা থেকে ১৬ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে পানি ভেসে থাকায় এসব মরদেহে পচন ধরেছে। যে কারণে মরদেহে পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এর আগে, গত মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার সময় তিউনিসিয়ার উপকূলের জেরবাত এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিশু-সহ অন্তত ১৫ তিউনিশিয়ান নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। নৌকাডুবির এই ঘটনায় নিখোঁজ হন আরও কমপক্ষে ১০ জন।
গত মাসে তিউনিশিয়ার একই এলাকা থেকে সাব-সাহারান আফ্রিকার ১৩ অভিবাসীর মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিউনিসিয়ার উপকূলে প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে। একইসঙ্গে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার চেষ্টাও অনেক বেড়েছে। গত কয়েক ব্ছরে হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন।
ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের জন্য অন্যতম প্রাথমিক গন্তব্য হয়ে উঠেছে তিউনিসিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আফ্রিকার এই দেশটিতে পৌঁছানোর পর নৌকায় চেপে বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর বহু মানুষ দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদের এই কাজে লিবিয়াকে ছাপিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলরেখা অভিবাসীদের কাছে প্রধান এক্সিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post