ব্যাংক থেকে বন্ধকী ঋণের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পদ কেনার সুযোগ রয়েছে প্রবাসীদের। তবে এজন্য পূরণ করতে হবে কিছু মানদণ্ড ও শর্ত।
কোন কোন প্রবাসীরা নিতে পারবেন বন্ধকী ঋণ
ঋণের আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই। তবে ঝুঁকি নিরূপণ করে সর্বোচ্চ বয়সের বিষয়টি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করতে পারবে। ঋণ নিতে মোট ঋণের এক শতাংশ আর্লি ফি দিতে হবে।
যাদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার দিরহাম তাদের মূলত আমিরাতের ব্যাংকগুলো বন্ধকী ঋণ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যেসব প্রবাসী প্রতিমাসে বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেন তারা চাইলে আমিরাতে বন্ধকী ঋণ নিতে পারবেন।
স্বনির্ভর এবং চাকরিজীবী উভয়ই ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
চাকরিজীবীদের যেসব কাগজপত্র লাগবে—
পাসপোর্টের কপি
আমিরাত আইডি কার্ড
বেতনের সার্টিফিকেট
সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
নির্দিষ্ট সময়ের প্লে স্লিপ
স্বনির্ভরদের যেসব কাগজপত্র লাগবে—
পাসপোর্টের কপি
আমিরাত আইডি কার্ড
ট্রেড লাইসেন্সের কপি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
কোম্পানির মেমোরান্ডম অব অ্যাসোসিয়েশন
নির্দিষ্ট সময়ের কোম্পানির অডিট কপি
যেসব বন্ধকী ঋণ নেওয়া যাবে
ফিক্সড রেড মর্গেজ : নির্দিষ্ট সুদের ওপর ভিত্তি করে এই ঋণ নেওয়া যাবে। এটির সুদের হার সবসময় এক থাকবে। এটির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি হতে পারে।
শর্ট টাইম মর্গেজ : এই ঋণও নির্দিষ্ট সুদের ওপর নেওয়া যাবে। তবে এটির মেয়াদ হবে কম (এক থেকে তিন বছর)।
লং টার্ম মর্গেজ : যেসব ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছর সেগুলোকে লং টার্ম মর্গেজ বলা হয়। এছাড়া আমিরাতের ইন্টারব্যাংকের সুদহার অনুযায়ীও ঋণ নেওয়া যাবে।
এদিকে ঋণের বিস্তারিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post