রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমানবাহিনী গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির স্থাপনায় আঘাত করেছে। এসব স্থাপনায় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইরান ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নাগরিকদের জন্য সরাসরি ও তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছিল।
হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। যে কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তাতে কিছু জায়গায় খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরাইলি হামলার পর ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইরানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তেহরান ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি বলেছে, ‘ইরান যেকোনো আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় জবাব দেয়ার অধিকার রাখে। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল কোনো পদক্ষেপ নিলে দেশটি তার উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া পাবে।’
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ১ অক্টোবর ইসরাইলে ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানের হামলার প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল তেল আবিব।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post