ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তার উপর যেভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনেস্তা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টে মামলা দায়েরের ঘটনা নজীরবিহীন।
রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুষ্টু কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের আশোভন আচরণের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। প্রশাসনের এখতিয়ার বহির্ভূত এই তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে জড়িত গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ মনে করেন, অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্ট হচ্ছে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সামনে ভয়াবহ কালাকানুন। এই আইনের অপপ্রয়োগে অনেক সময় সরকার ও জনসাধারণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টেও বেশ কিছু ধারা রয়েছে, যা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধার সৃষ্টি ও মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলে দেয় সাংবাদিকদের। এসব ধারার ব্যাপারে ইতিপূর্বে সাংবাদিক সমাজ রাষ্ট্র ও সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তাদের মতামত ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।
ডিইউজের স্পষ্ট দাবি হচ্ছে- গণতন্ত্র ও জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক সকল কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কঠোরতা প্রয়োজনীয় হলেও সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে তার কয়েকটি ধারা অন্তরায় বলে মনে করে ডিইউজে।
বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা আরো বলেন, সুনামখ্যাত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তির পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বাধ্য হবে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতির স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ কথা মনে রাখতে হবে সাংবাদিকরা হচ্ছেন রাষ্ট্রের প্রহরী। তারা কারো প্রতিপক্ষ নয়, তাদের বন্ধু ভাবুন। অনবরত শত্রু ভাবতে ভাবতে দূরে সরিয়ে দেবেন না। তাতে লুটেরাদেরই সুবিধা হয় বেশি। সরকারের অকাশচুম্বি নানা অর্জন ম্লান হয়ে যায়।
একইসঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আগামী ২০ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষণা করছে। কর্মসূচীতে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post