দেশে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চলাচলও আরও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ২১ এপ্রিল থেকে পরবর্তী সাত দিন কোনো শিডিউল ফ্লাইট চলাচল করবে না। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লকডাউনের এই সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো প্লেন, স্পেশাল/চাটার্ড ফ্লাইট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে। এছাড়া প্রবাসীদের আনা-নেওয়ার জন্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমানের বিশেষ ফ্লাইটগুলো আগের মতোই চলবে।
বুধবার বিকেলে এবিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেবিচক। বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড এবং রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ২০ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট (২১ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেবিচক। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে সে বছরের ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিকে মহামারী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই দেশের ইতিহাসে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশে করোনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনাভাইরাস নিয়ে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ২৭১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৩৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post