ইরানের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা- ইরান এয়ারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর, ইউরোপের সমস্ত গন্তব্যের সব ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাটি।
তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার যাত্রীদের উদ্দেশে পাঠানো এসএমএসে জানানো হয়, ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের সব ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ইরান এয়ার। তেহরানের ইমাম খোমেনী (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের এসএমএসটি পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার ইরানের তিনটি এয়ারলাইন্স- ইরান এয়ার, মাহান এয়ার এবং সাহাসহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান ও সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করে তা রাশিয়ার কাছে সরবরাহ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তেহরান শুরু থেকেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ইরানি এয়ারলাইন্সগুলোর অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মাকসুদ আসাদি সামানি বলেন, ইরান থেকে ইউরোপীয় রুটগুলোতে ইরানের একমাত্র যে এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করতো সেটি হচ্ছে ইরান এয়ার। সেটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে ইরানি আর কোনো বিমান ইউরোপে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ইরান থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা যখন দিন দিন বাড়ছে তখন ইরান এয়ারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এর ফলে এখন ইউরোপীয় এয়ারলাইন্সগুলোই লাভবান হবে।
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জাফর ইয়াজেরলু বলেছেন, ইউরোপীয় বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণ করতে না দেয়ার আশঙ্কা থাকায় ইরান এয়ার আগেভাগে স্বপ্রণোদিতভাবে তার ফ্লাইটগুলো বাতিল করে দিয়েছে যাতে ইরানি যাত্রীদেরকে দেশের ভেতরে ও বাইরে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
নিষেধাজ্ঞার ঝামেলা থেকে সাধারণ যাত্রীদের মুক্ত রাখার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলসহ অন্যান্য চ্যানেলে যোগাযোগ চলছে বলেও তিনি জানান।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান এবং ইউরোপের মধ্যে নিয়মিত চলাচল করা ফ্লাইটগুলোকে প্রভাবিত করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post