বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মিরপুর ১০ মেট্রোরেল স্টেশন মঙ্গলবার সকাল থেকে চালু হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়জুল কবির খান আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রো স্টেশন পুনরায় চালু করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের উপদেষ্টা জানান, এটির সংস্কারে সময় লেগেছে ২ মাস ১৭ দিন। আর মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করা হয়েছে, তাই সেসব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।
ফাওজুল কবির খান জানান, মেট্রোস্টেশন আন্দোলনকারী ছাত্ররা ভাঙচুর করেনি। যারা স্টেশন ভাঙচুর করেছে তাদের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেলের বিবরণ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভাঙচুর করে। ফলে কর্তৃপক্ষ দুটি স্টেশন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
তবে ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ দুটি স্টেশন বন্ধ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ কাজীপাড়া স্টেশনটি স্বল্প খরচে মেরামত করে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায়া চালু করে।
প্রসঙ্গত, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে হামলার ঘটনার পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, এক বছরেও মেট্রো স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হবে না।
অথচ ১ বছর নয়, ২ মাস ১৭ দিনেই চালু হলো মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন। সকাল থেকেই স্টেশনটি থেকে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post