ইরানের ৪০০টি ব্যালিস্টিক মিসাইলের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ইসরাইলের বেশকয়েকটি সামরিক স্থাপনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরাইলের তিনটি বিমান ঘাঁটি। এমনই এক চাঞ্চল্যকর স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলের তিনটি বিমানঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান রাখার হ্যাঙ্গারগুলো শক্তিশালী কোনও কিছুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব হ্যাঙ্গারে রাখা ছিল ইসরাইলের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান। এগুলো হল মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এবং এফ-১৫ সুপার ঈগল। এসব বিমানের এক একটির দাম মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। অত্যন্ত মূল্যবান এসব বিমান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে পেয়েছিল ইসরাইল।
বিভিন্ন মিডিয়ায় দাবি, ইরানি মিসাইলের আঘাতে ইসরাইলের অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলের নেভাতিম, হেটজারিম ও তেলনৌফ ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরাইল ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে বিমানঘাঁটির বর্তমান অবস্থা। দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই নাকি ধ্বংস করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ও ইসরাইলি বাহিনী।
তাহলে স্যাটেলাইট ছবিতে কীভাবে এত ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠল! দেখা গেছে, নেভাতিম বিমানঘাঁটির পুরো হ্যাঙ্গারই ধ্বংস করে ফেলেছে ইরানি মিসাইল। নেভাতিম বিমানঘাঁটির একটি এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারের ছাদে বিশাল গর্ত দেখা গিয়েছে। ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসস্তূপ। ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির একটি নেভাতিম।
এই বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ নিজেদের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান রাখত ইসরাইল। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া। স্যাটেলাইট ছবির পাশাপাশি প্রকাশিত হচ্ছে ভিডিয়ো ফুটেজও।
সেখানে দেখা গেছে, অধিকৃত অঞ্চলের ভেতরে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে এবং সেগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেবারও নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post