মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জামিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার সাবেক নারী শিক্ষককে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার মৌলভীবাজার মডেল থানায় মাওলানা আলতাফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী শিক্ষক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আলতাফুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ওই নারী শিক্ষক মাওলানা আলতাফুর রহমানের মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। ২০২২ সালের ২০ মার্চ মাদ্রাসা বন্ধ হলে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়িতে চলে যান। কিন্তু প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমান ওই শিক্ষিকাকে বাড়িতে যেতে দেননি। চাকরির সময়ে নানাভাবে বলপ্রয়োগ, প্রভাব খাটিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারী শিক্ষককে মাদ্রাসায় একা রেখে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।
পরবর্তী সময়ে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসা থেকে চাকরি ছেড়ে দেন। কিছুদিন পর ২০২২ সালের মে মাসে ওই শিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও ধর্ষণের ভিডিও নারী শিক্ষকের স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমান প্রায় সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। ওই নারী শিক্ষকের স্বামী বিষয়গুলো বুঝতে পেরে মৌলভীবাজার উলামা পরিষদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর উলামা পরিষদ তদন্ত করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এতে করে প্রিন্সিপাল আলতাফুর রহমানকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর উলামা পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও কওমি অঙ্গন থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। উলামা পরিষদ অন্যান্য মাদ্রাসা, দপ্তর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আলতাফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post