ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে ভোলা আসার পথে মাঝ নদীতে এমভি আল ওয়ালিদ- ৪ লঞ্চে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। নবজাতকের নাম রাখেন নি। নবজাতক ও তার বাবা-মায়ের আজীবনের জন্য যাতায়াত ফ্রি ঘোষণা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চের ইনচার্জ মোঃ মাকসুদের রহমান জানান, লঞ্চের দ্বিতীয় তলার ২১৬ নং কেবিনের যাত্রী ছিলেন পারভিন নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। লঞ্চটি সদরঘাট ত্যাগ করার পরে ফতুল্লা ঘাটে ৩ টার দিকে পৌঁছলে ফতুল্লা ঘাটের থেকে লঞ্চে উঠেন অন্তঃসত্ত্বা মা পারভিন। পরে বিকাল ৪:২৫ মিনিটের দিকে তার প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার খবর পেয়ে আমাদের লঞ্চের প্রাথমিক চিকিৎসকের পরামর্শে একজন অভিজ্ঞ ধাত্রীর সহায়তায় নেয়া হয়। ধাত্রী আমাদের লঞ্চে যাত্রী হয়েই এসেছিলেন। পরে লঞ্চের এই ধাত্রী যাত্রীর সহায়তায় পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পারভিন।
নবজাতকের মা ও নবজাতককে নিতে আসা নবজাতকের মামা জহুরুল ইসলাম বলেন, ডেলিভারির আরও ১৫ দিন বাকি ছিল। ভোলায় বাবার বাড়ি বোরহানউদ্দিন দেউলা এলাকায় বাচ্চা প্রসব করার জন রওনা দেন আমার বোন পারভিন। আমি তাকে রিসিভ করে নিতে ইলিশা ঘাটে পৌছাতে পথিমধ্যে জানতে পারি আমার বোন লঞ্চেই একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন।এভাবে সন্তান জন্ম হওয়ায় আমরা আনন্দিত। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নবজাতককে নগদ অর্থ পুরস্কার দিয়েছে।
লঞ্চের নামের সাথে মিল রেখে নবজাতকের নাম মোঃ ওয়ালিদ রাখবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে মা ও নবজাতকের এই কোম্পানির লঞ্চে আজীবন যাতায়াত ফ্রী ঘোষনা করেছে মেসার্স মমতাজ সরদার শিপিং লাইন্স কর্তৃপক্ষ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post