সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোর পরেও রেমিট্যান্স শাটডাউন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রবাসীদের অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে এবং কমেন্ট বক্সে ক্যাম্পেইন ঘিরে সরব এসব প্রবাসী। বাদ যাননি ওমান প্রবাসীরাও।
সক্রিয়ভাবে এসব প্রচারণার কারণ জানতে চাইলে তারা দেশে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানোর কথা বলছেন। কেউ কেউ ইন্টারনেট বন্ধের কারণে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারার বিষয়টিকেও টেনে আনছেন।
এদিকে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে দেশে প্রবাসী আয় আসা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। সোমবার প্রবাসী আয়ের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সে অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।
বিষয়টিকে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কাই মনে করা হচ্ছে। এই নেতিবাচক ধারা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনে বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বিভিন্ন সংবাদে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পাশাপাশি বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখছে দূতাবাসগুলো। তবুও শাটডাউন প্রচারণা ঘিরে রেমিট্যান্সে নতুন সংকটের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post