বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর বন্ধু প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে প্রবাসীদের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ গত অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ২৬১ জন প্রবাসী কর্মীর মরদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৬৬টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগস্ট মাসে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, অক্টোবরে ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, নভেম্বরে ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা, ডিসেম্বরে ১ কোটি ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৬৩টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১ কোট ৮ লাখ ১৫ লাখ টাকা, মার্চ মাসে ১ কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, এপ্রিলে ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মে মাসে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং জুন মাসে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ১৪ কোট ৯১ লাখ ৩৫ লাখ টাকার চেক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, বিভিন্ন এয়ারক্রাফটযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহগুলো প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা থেকে গ্রহণপূর্বক দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক স্বচ্ছতার সাথে প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ গ্রহণ করতে আসা প্রবাসী কর্মীর পরিবারের সদস্যদের জন্য Waiting Room চালু করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২টি এ্যাম্বুলেন্সযোগে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রবাসে মৃত ৯৫ জন কর্মীর লাশ পরিবারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয় এবং গুরুতর অসুস্থ কর্মীকে গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের এ্যাম্বুলেন্সযোগে বিনা ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে যে সমস্ত কর্মী বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ বছরের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের প্রত্যেকের পরিবার ৩ লাখ টাকা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এবং ১০ লাখ টাকা জীবন বিমা করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত হবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post