ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট কৃপা শংকর কানৌজিয়াকে কনস্টেবল পদে পদাবনতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবাসিক হোটেলে এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরাপড়ার তিন বছর পর তাকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।
কৃপা শংকর আগে উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের বিঘাপুরের সার্কেল অফিসার (সিও) পদে ছিলেন। এখন তাকে পদাবনতি দিয়ে রাজ্যের গোরখপুরের ২৬তম প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হয়েছে।
২০২১ সালের জুলাইয়ে কৃপা শংকর পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। তবে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে যাননি। গিয়েছিলেন রাজ্যের কানপুরের একটি হোটেলে। হোটেলে ওঠার সময় কৃপা শংকর তার ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল উভয় মোবাইল নম্বরই বন্ধ করে রাখেন।
এদিকে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে ওই সার্কেল অফিসারের স্ত্রী উন্নাওয়ের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, কানপুরের হোটেলে ঢোকার পরই মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে। বিপদের আশঙ্কা করে সঙ্গে সঙ্গে ওই হোটেলে পৌঁছায় উন্নাও পুলিশ।
কিন্তু কোনো ধরনের বিপদ নয়, বরং আপত্তিজনক অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে পাওয়া যায় ওই সার্কেল অফিসারকে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও তাদের একসঙ্গে হোটেলে প্রবেশ করতে দেখা যায়, আর এটি পরবর্তী তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে ওঠে।
ঘটনার পর সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর কৃপা শংকরকে কনস্টেবল পদে পদাবনতির সুপারিশ করে সরকার।
পুলিশের এডিজি (প্রশাসন) অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি আদেশ জারি করেন। ফলে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা থেকে কৃপা শংকর এখন কনস্টেবল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post