প্রতিটি মানুষের সফলতার পিছনে এমন কিছু ঘটনা লুকিয়ে থাকে, যা অনেকেরই অজানা। সবাই শুধু সফলতা দেখে মুগ্ধ হলেও এই সফলতার পিছনের করুন কিছু কাহিনী থাকে সবারই অজানা। পৃথিবীতে সফলতা একেক জনের কাছে একেক রকম হলেও অসচ্ছল থেকে সচ্ছল হওয়াকেই অধিকাংশ মানুষ সফলতা মনে করেন।
তেমনই এক সফল প্রবাসী মানিকগঞ্জের ওমান প্রবাসী সেলিম খান। ভাগ্যবদলের আসায় ২৪ বছর পূর্বে মরুময় দেশ ওমানে যান। যিনি ওমানের মাস্কাট থেকে প্রায় ৭০০ কিমি দূরে ওমানের তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল সেলিমে থাকেন। প্রবাস টাইমের আজকের বিশেষ প্রতিবেদনে জানবো সেলিম খানের সফলতার গল্প।
ওমানের তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল পিডিও এরিয়া থেকেও প্রায় ১০০ কিমি দূরের একটি মরুভূমিতে থাকেন সেলিম মিয়াঁ। সেখানে যেয়ে দেখা গেলো বিশাল এক মরুভূমিতে শুধুমাত্র সেলিম খানের একটি স্ক্র্যাবের (ভাঙ্গারি) বাউন্ডারি রয়েছে।
এ ছাড়া চারদিকে শুধুই মরুভূমি। জীর্ণশীর্ণ পরিবেশের মধ্যেই কোনমতে মাথা গুঁজেন সেলিম খান। আর সারাদিন পিডিও’র এক রিগ থেকে আরেক রিগে ভাঙ্গারির সন্ধান করেন। এভাবে রিগ থেকে মাল সংগ্রহ করে তা বড় ট্রেলারে করে মাস্কাট পাঠান বিক্রির উদ্দেশ্যে।
আরো পড়ুনঃ ২০১ রিয়াল দিয়ে পতাকা নবায়নের মেয়াদ বাড়ালো ওমান
দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত তিনি এইভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার অর্জিত অর্থ দিয়ে বর্তমানে মানিকগঞ্জ টাউনেই একটি নিজস্ব বাড়ি করেছেন এবং বেশকিছু জমিও কিনেছেন। নিজের পরবার দেশে থাকলেও সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই আছেন এই প্রবাসী।
সেলিম খান যখন ওমানে যান, তৎকালীন সময়ের ওমান এখনকার মতো এমন চাকচিক্যময় ছিলোনা। যাতায়াতের জন্য মরুভূমি এবং গ্রাম অঞ্চলে ব্যবহৃত হতো গাধা। আর উত্তপ্ত মরুভূমি অঞ্চলের মানুষেরা ঘুমাতেন বালুর মধ্যে। এমনই কিছু রহস্যময় ওমান সম্পর্কে অজানা তথ্য জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post