লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চুরি করতে গিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণচেষ্টা এবং টাকা-স্বর্ণালংকার লুটের মামলায় গ্রেফতার এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) রাতে চরবংশী গ্রাম থেকে আসামি রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ওই মামলার আসামি দিদার সরদার ও মনির হোসেন তাদের এক স্বজনের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠায়, চোরাই টাকা ও সোনা ফেরত দেবেন যদি ওই গৃহবধূ তাদের বিয়ে করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানান অভিযোগকারী ওই গৃহবধূ। এর আগে, শনিবার (১ জুন) রাত ২টার দিকে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, মামলার পর থেকে ওই গৃহবধূ বিচার তো পাননি উল্টো দক্ষিণ চরবংশীর ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবুল হোসেন এবং অভিযুক্তরা তাকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার জানান, প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, টাকা ও স্বর্ণ লুটের মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
ঘটনার বর্ণনায় ওই গৃহবধূ জানান, প্রতিদিনের মতো ওই রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান তিনি। এ অবস্থায় তার ঘরের সামনের দরজা দিয়ে সিঁধ কেটে প্রবেশ করেন একই গ্রামের জালাল সর্দারের ছেলে দিদার সর্দার, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, বোরহানের ছেলে মো. রাসেল ও হোসেন আলীর ছেলে হেলাল।
এ সময় তারা চারজন তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এ সময় ঘরের আলমারিতে রাখা আড়াই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় তারা। তিনি আরো জানান, চোর দিদার সর্দার চলে যাওয়ার সময় নিজের মোবাইল রেখে তার মোবাইল নিয়ে যায়। তখনই চোরদের শনাক্ত করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post