সাভারে প্রবাসী আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, বিচ্ছেদের পরেও তাকে সাবেক স্ত্রী নির্যাতন করেছেন। বাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করছেন।
রোববার বিকেলে থানা রোডের একটি রেস্টুরেন্টে এসব অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আমজাদ। এ সময় সাবেক স্ত্রী ‘টিকটকার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আমজাদের ৮ বছর বয়সী সন্তানও তার মায়ের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ২০১২ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের খানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেলের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাভারের ব্যাংক কলোনির পৈত্রিক জমিতে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। স্টেশনারি ব্যবসাও ছিল তার।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে জোর করে বিদেশে পাঠান তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আমজাদ বিদেশে যাওয়ার পর তার স্ত্রী টিকটক শুরু করেন। এক সময় পরকীয়ায় জড়ান। দুই তিনবার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতেও যান। তার বাড়িতেই কয়েকজন নারীকে দিয়ে অসৎ ব্যবসা শুরু করেন।
এসব জানতে পেরে বিদেশে বসেই স্ত্রীকে তালাক দেন আমজাদ। এ ঘটনার ৫ মাস পরে তিনি দেশে ফেরেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সাবেক স্ত্রী। তিনি ও তার পরিবারের লোকজন আমজাদের বাড়ির তিনতলা দখল করেন। এখন পুরো বাড়ি দখলের চেষ্টা করছেন।
তার ছেলে জানায়, তার মা তাকে খুব মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখতো। বাসায় বিভিন্ন লোকজন নিয়ে সিগারেট আর কাপে পানি খেত। তার মা নিজেই ব্লেড দিয়ে হাত কেটে লবণ লাগিয়েছিলেন। বিভিন্ন পুরুষ আসতো তাদের বাসায়।
আমজাদ বলেন, শুধু নারী নির্যাতনের বিচার হয়। পুরুষ নির্যাতনের বিচার নেই। আমার প্রতি এই অবিচারের বিচার চাই। আমার সাবেক স্ত্রী আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার বাড়ি দখল করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
আমার চারটি ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। নিজেই নিজের হাত কেটে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আরও মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার প্রবাস জীবনের সব টাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছি। ঋণ করে বিদেশে গিয়েছিলাম, প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে সেই কিস্তি দিয়েছি। সব তারা লুটে নিয়েছে। আমার ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমি এসবের বিচার চাই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post