শখ আর স্ত্রীর মন রক্ষায় একবার দু’বার নয়, টানা সাতবার হেলিকপ্টারে চড়ে রাজকীয় বেশে বাড়ি আসেন প্রবাসী জালাল আহমেদ। তার বাড়ি আসাকে কেন্দ্র করে জালালের নিজ গ্রামে দেখা গিয়েছে উৎসবের আমেজ। উৎসব ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামগুলোতেও। তাকে গ্রহণ করতে শতশত নারী-পুরুষ ফুল নিয়ে হাজির হয় হেলিপ্যাডে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামে এই আমেজ দেখা যায়।
জানা যায়, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতে কাজ করছেন প্রবাসী জালাল আহমেদ। ব্যবসা-বাণিজ্য করে আর্থিক সফলতার মুখ দেখছেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সেই অর্থ দিয়ে মানবতার কল্যাণের পাশাপাশি শখও মেটান নিজের। ইচ্ছে পূরণ করেন প্রিয়তমা স্ত্রী ও সন্তানদের। শখ মেটাতে গত ৭ বছর যাবৎ হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি আসেন তিনি। তার বাড়ি আসাটা একটা উৎসবে পরিণত হয়। পুরো বাড়ি সাজে বর্ণীল সাজে। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয় তাকে।
হেলিপ্যাডে পৌঁছার পরই তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঘিরে ফেলে পরিবার, পরিজন ও গ্রামবাসী। এসময় প্রিয় সন্তানকে ফুল দিয়ে বরণ করেন তারা। শখ আর সামর্থ্য থাকায় হেলিকপ্টারে বাড়ি আসাকে অনেকে ভালো চোখে দেখেন অনেকে। পাশাপাশি জালাল আহমেদের মানবিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার বিষয়টিকেও সাধুবাদ জানান তারা।
এলাবাসীকে বিনোদন দেয়া ও কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখানোর জন্য এ কাজটি করেন বলে জানান জালাল আহমেদ। পাশাপাশি এলাকার মানুষদের পাশে সব সময় থাকার ইচ্ছে পোষণও করেন কুয়েত প্রবাসী জালাল।
জালাল আহমেদের হেলিকপ্টারে বাড়ি আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন জোড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হাত ধরে দেশ অর্থনৈতিক সাফল্য দেখছে। তাই, তাদের শখ ও কাজকে সাধুবাদ জানান সবাই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post