চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও তিউনিসিয়ার নেতারা। সোমবার (২৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক বিবৃতিতে বলেন, এই নেতারা ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত চীন সফর করবেন। তারা ‘চায়না-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামে’-এর ১০ম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরব নেতাদের মধ্যে আছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চাইছে চীন। এমন প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে আরব নেতাদের এই সম্মিলন হতে যাচ্ছে।
চীন ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনকারী। চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
গত নভেম্বরে বেইজিং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, সৌদি আরব ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করেছিল। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাত বন্ধে এই আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
বহু দশক ধরে সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের চালানো নির্যাতন, গণহত্যা, ধর্ষণ, হেনস্তা, ভূমিদখল ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, এই হামলায় ১ হাজার ১৭০ জনের বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২৫২ জনকে জিম্মি করা হয়।
পরে নভেম্বরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির আওতায় তাদের অনেকে মুক্তি পান। ইসরায়েলের দাবি, প্রায় ১২১ জন জিম্মিকে গাজা উপত্যকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরপর ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নতুন করে তাণ্ডব চালানো শুরু করে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post