চট্টগ্রামে সৌদি প্রবাসীর ১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া এসআই আমিনুল ইসলাম নগরের খুলশী থানায় কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদ নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা। আমিনুলের সোর্স (তথ্যদাতা) হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
এদিকে, নগর পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন বলেন, প্রবাসীর সোনা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার হওয়া বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত রোববার (১৯ মে) বিকেলে নগরের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারে আবদুল খালেক নামে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এসআই আমিনুলসহ দুজনকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
এ সময় তাদের আরেক সহযোগী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রাতেই খুলশী থানায় মামলা করেন সৌদিপ্রবাসী আবদুল খালেক।
জানা যায়, ১২ দিন আগে দেশে ফেরেন আবদুল খালেক। কিন্তু তিনি কিছু সোনার চুড়ি রেখে আসেন। রোববার বিকেল ৩টার দিকে সৌদি আরব থেকে আসা তার এক পূর্বপরিচিত ব্যক্তি সেই চুড়িগুলো নিয়ে আসেন।
দুই ভরি করে আটটি চুড়ির ওজন ছিল ১৬ ভরি। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গয়নাগুলো বুঝে নেন আবদুল খালেক। এরপর বাসে বাড়ি লোহাগাড়ার উদ্দেশে রওনা হন।
বাসটি নগরের টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছালে সাদা পোশাকে থাকা খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম তার এক সহযোগীসহ বাস থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুল খালেককে নামিয়ে আনেন। এরপর তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন।
প্রবাসী আবদুল খালেকের কাছে থাকা সোনার চুড়িগুলো অবৈধ দাবি করে কেড়ে নেন আমিনুল ও তার সহযোগীরা। ঐ সময় আবদুল খালেক সেগুলো বৈধ জানিয়ে কাগজপত্র দেখালে তা ফেলে দেন আমিনুল। এরপর ঐ গাড়িসহ আবদুল খালেককে নিয়ে নগরের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন।
একপর্যায়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারে নিয়ে আবদুল খালেককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আমিনুল ও তার সহযোগীরা। এ সময় আবদুল খালেক এসআই আমিনুলের পোশাক ধরে রাখেন।
তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে সেখানে লোকজন জড়ো হন। খবর পেয়ে হাজির হয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশও। তারা আমিনুল ও তার সহযোগী শহীদুলকে আটক করেন। তবে পালিয়ে যান আরেক সহযোগী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post