মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারণার শিকার ৭৩৩ জন প্রবাসী শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হবে।
দেশটির শ্রম বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে, অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ মোট ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ রিংগিত। যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি।
গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯ (৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করা হবে।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি জোহরবারুতে ৭৩৩ জন প্রতারিত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যায়। কর্মীদের প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হয় এবং সাথে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজও দেওয়া হয়নি তাদের।
এ সময় গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সেই সময়ে প্রবাসীদের টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বিচারের মুখোমুখি বাংলাদেশিদের বেতন না দেওয়া মালয়েশিয়ান কোম্পানি মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং সাথে প্রবাসী শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশিকর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীকে ইতিমধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post