প্রবাসে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের এক সদস্যসহ আটজনকে আটক করেছে মালয়েশিয়ান অভিবাসন বিভাগ।
জানা গেছে, বাংলাদেশি অনথিভুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড তারপর নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় আনার জন্য ২১ হাজার রিংগিত আদায় করেছে মানবপাচার চক্রটি।
আজ শনিবার (১৮ মে) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল রুসলিন জুসোহ বলেন, রাজধানী কুয়ালালামপুরে জালান সুলতান ইসমাইলের একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে এই সিন্ডিকেটকে আটক করা হয়।
পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭.০২ মিনিটে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
জেনারেল বলেন, ৩৩ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি একজন সিন্ডিকেটের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাথে গাড়িতে থাকা অনথিভুক্ত দুই বাংলাদেশিকেও আটক করা হয়েছে।
এ সময়, গাড়ি থেকে আটক দুই বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাসভবনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাস ছাড়া আরও পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
রুসলিন আরও বলেন, অভিযানের সময় দলটি ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৩টি মোবাইল, নগদ ৫০০ রিঙ্গিত এবং অভিবাসীদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পেরোডুয়া মাইভি গাড়ি আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, সিন্ডিকেটটির কাজ ছিল মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান খুঁজছেন এমন নথিভুক্ত অভিবাসীদের আকাশপথে প্রথমে ভিয়েতনাম তারপর স্থলপথে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর থাইল্যান্ড থেকে নৌকায় করে তাদের মালয়েশিয়ায় কেলান্তানে এরপর সেখান থেকে তাদের রাজধানী কুয়ালালামপুরে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সিন্ডিকেটটি গত দুই মাস ধরে কাজ করছে। অভিবাসী আইন ২০০৭-এর ধারা ২৬-এ এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে।
আটককৃতদের অভিবাসীদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর অধীনে তদন্তের স্বার্থে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post