স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমানের জেরে গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফারুক হোসেন নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। দুবাইয়ের আল কুসাইস এলাকার একটি ভবন থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত চার মাসে ফারুকের মতো আরব আমিরাতে অন্তত ১২ বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেছেন।
এর মধ্যে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে ১০ জন এবং আবুধাবিতে আত্মহত্যা করেছেন দু’জন। প্রবাসীরা বলছেন, আত্মহননকারীর অধিকাংশই ঋণের চাপ, পারিবারিক কলহ, মান-অভিমান, বেতন না পাওয়া ও কর্মহীনতার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। একাকিত্বের কারণেও কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
দুবাই এবং আবুধাবির শ্রম কাউন্সেলরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুবাই ও উত্তর আমিরাতে গত জানুয়ারি থেকে চলতি মে মাস পর্যন্ত ১০ প্রবাসী বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে আবুধাবিতে গত মার্চ ও এপ্রিলে দু’জন এবং গত বছর পাঁচ প্রবাসী আত্মহত্যা করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে আত্মহত্যা করা ফারুক হোসেন যে ভবনটিতে থাকতেন, সেখানে অধিকাংশই ট্যাক্সি চালকের বসবাস। ফারুক ২০১৫ সালে দুবাই ট্যাক্সি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে আমিরাতে আসেন। এরপর থেকে তিনি ট্যাক্সি চালাতেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। কয়েক দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল তাঁর। মাঝে মাঝে বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়েও কথা বলতে শোনা যেত।
একদিকে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ, অন্যদিকে বেকার জীবনযাপনের হতাশার কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। প্রবাসীরা বলছেন, অধিকাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক প্রবাসে একা থাকেন। কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন চাপ ও পারিবারিক কলহের কারণে প্রতিনিয়ত তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post