ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানো মানুষের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এই পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যামি পোপ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন।
বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪’ প্রকাশ করেন।
আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো।
তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।
বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে।
২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।
বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post