গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিনিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তাদের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গতকাল সোমবার (৬ মে) রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক যুদ্ধবিরতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিল তা সফল হয়েছে। হামাসের মতো ইসরাইলেরও একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাদের যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি সমস্ত পশ্চিমা নেতাকে গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইলি প্রশাসনের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আমাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো চিফ ইসমাইল হানিয়াহর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম।
হানিয়াহর সঙ্গে আমাদের কথোপকথনের সময় আমরা গাজায় সংঘাত ও সহিংসতা বন্ধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রাপ্ত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাসের গ্রহণযোগ্যতা মূল্যায়ন করেছে। এর আগে সোমবার হামাস সূত্র জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত গোষ্ঠীটি।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরাইলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি।
এদিকে, হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়া নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post