মালায়েশিয়ায় একটি ক্ষেত থেকে রতন কুমার বিশ্বাস (২৪) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের দাদাবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাড়ে ১২টার দিকে কুয়ালালামপুরের পেনাং এলাকার একটি ক্ষেত থেকে পুলিশ কর্তৃক নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছেন নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা।
নিহত রতন কুমার বিশ্বাস যশোরের চৌগাছার দিঘলসিংহা গ্রামের শ্যামল কুমার বিশ্বাস ও ধর্ণা রাণীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামের রতন কুমার বিশ্বাসকে তার দাদা বাবু বিনয় কুমার মালায়েশিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি প্রায় দুই বছর ধরে একটি কম্পানির অধীনে কাজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালায়েশিয়ার কর্মরত এক প্রবাসি জানান, রতন কুমার বেশ ভালোই ছিল। আমরা কখনো তাকে মন খারাপ বা শরীর খারাপ অবস্থায় দেখিনি।
তার দাদা বাবুর কাছেই রতন থাকত। দাদা বাবু ৮-১০ বছর হলো মালায়েশিয়াতে আছে। তবে তিনি এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে মালায়েশিয়ায় আনার জন্য চেষ্টা করে থাকেন। শুনেছি এলাকায় তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার সাড়ে ১২টার সময় আমরা জানতে পারি, ঝুলন্ত অবস্থায় রতনের লাশ মালায়েশিয়া পুলিশ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় রতনের দাদাবাবু বিনয় কুমারকে পুলিশ নিয়ে গেছে।
নিহতের চাচাত ভাই উদাস কুমার বিশ্বাস জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা গতকাল সোমবার মালায়েশিয়া থেকে ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি, রতন দা আত্মহত্যা করেছে। ওখানে কি ঘটেছে তা আমরা জানি না। তবে রতন দা আত্মহত্যা করবে তা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।
এদিকে মালায়েশিয়া থেকে পাঠানো একটি ছবিতে দেখা গেছে, চাষের একখণ্ড জমিতে সরু পিলার বসানো। পিলারের ওপর আড়া দেয়া আছে। তাতে কালো রশিতে রতনের মরদেহ ঝুলছে। কিন্তু তার কালো কেটস পরিহিত পা দুটি মাটি থেকে মাত্র এক ইঞ্চি উঁচুতে আছে। শরীরে কালো রঙের ফুলহাতা শার্ট লক্ষ্য করা গেছে। শার্টের ডান হাতের পাশে কিছুটা ছেঁড়া রয়েছে।
জানা যায়, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুয়ালালামপুর একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি কি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা দেশটির পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post