অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সমস্যা আগামী তিন বছরের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের মন্ত্রীদের পাবলিক ফোরাম ‘আহা’-এর তৃতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী ইহুসান এ কথা বলেন। অনথিভুক্ত অভিবাসীদের মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে প্রচুর পরিমাণে অনথিভুক্ত অভিবাসী রয়েছে, যার সঠিক সংখ্যা অজানা।তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে মালদ্বীপে বসবাসকারী সমস্ত অভিবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য কাজ করছে।
বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকরা যারা অদক্ষ শ্রম বিভাগের আওতায় পড়ে। আমরা তাদের উভয় হাতের আঙুলের ছাপ নেব, তাদের ছবি তুলব এবং আমাদের ওয়ার্ক পারমিটের রেকর্ডের সাথে মেলাবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা সরকারি রেকর্ডে নেই সেই অভিবাসীদের তথ্য রেকর্ড করা হবে। সরকার অনথিভুক্ত অভিবাসীদের চিহ্নিত করবে এবং সমস্ত অভিবাসীদের তথ্য সিস্টেমে প্রবেশ করাবে।
আগামী এক মাসের মধ্যে সব আবাসিক দ্বীপে কাজ শুরু করা হবে।দ্বিতীয় ধাপে অনথিভুক্ত শ্রমিকদের নিয়মিত করা হবে।এবং তৃতীয় ধাপে, আমরা তাদের সুযোগ দেব যাদের কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না, বা যারা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছেন মানে যারা পলাতক, যারা কোনো কোম্পানিতে কিনবা মালিকের অধীনে কাজ করছেন না।
কোম্পানির নামে যারা আছে কোম্পানিগুলো যারা রাষ্ট্রকে কোনো ট্যাক্স বা কিছু দিচ্ছে না। অবৈধভাবে মালদ্বীপে বসবাস করছে এবং দেশে। টাকা পাঠাচ্ছে আমরা এই ধরনের লোকদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেব।
মন্ত্রী ইহুসান বলেন, যারা সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিদেশি দূতাবাসগুলোর সাথে নথি তৈরি করতে এবং কোনো প্রকার শনাক্তকরণ ছাড়াই অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার সহযোগিতা করবে।
ইহুসান বলেন, সরকার তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে কাজ করবে। তিনি এক মাসের মধ্যে অভিবাসীদের নিয়োগের জন্য একটি সম্পূর্ণ আইটিনির্ভর ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করে। এটি অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও স্থানীয় পরিষদের সহযোগিতায় কাজটি করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post