সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বেসরকারি বিমান নভোএয়ারের ফ্লাইট ভিকিউ ৯৩৬ বিমান। কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় হাঁসফাঁস অবস্থা।
বিমানটিতে একজন যাত্রী হিসেবে থাকা এই প্রতিবেদক কেবিন ক্রুকে এসির তাপমাত্রা কমিয়ে ঠাণ্ডা করার অনুরোধ জানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
এরই মধ্যে প্রচণ্ড গরমে আনুমানিক ২ বছরের এক শিশু চিৎকার করে কান্না শুরু করে। গরমে ছটফট করতে থাকা শিশুটির মা ও বাবা অস্থির হয়ে ওঠেন। কিছুতেই কান্না থামে না।
শেষ পর্যন্ত গায়ের জামা খুলে দেওয়া হয় বাচ্চাটির। তাতেও কাজ না হওয়ায় শিশুটির বাবা বিমানে থাকা নভোএয়ারের নিরাপত্তা নির্দেশিকা সম্বলিত একটি কার্ড দিয়ে বাতাস করা শুরু করেন। সঙ্গে মোবাইলে কার্টুন চালিয়ে দেওয়ার পর কিছুটা শান্ত হয় শিশুটি। এতকিছুর পরও নির্বিকার কেবিন ক্রুরা।
আবারও কেবিন ক্রুদের গরমের বিষয়টি জানানো হলে উত্তর আসে ককপিটে জানানো হচ্ছে। তারা বিষয়টি দেখবেন। সময় গড়ায় কিন্তু গরম কমে না। আবারও বলা হলে একজন কেবিন ক্রু ঠাণ্ডা পানির বোতল নিয়ে আসেন এই প্রতিবেদকের কাছে। এক পর্যায়ে বিমানটি ঢাকায় পৌঁছানোর পর স্বস্তি ফিরে পান যাত্রীরা।
বিমানটির একজন যাত্রী রিসান নসরুল্লাহ জানান, গরমে তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। আর কিছুক্ষণ থাকলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
জীবন আহসান নামের আরেক যাত্রী নামার সময় অন্যদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, এখন থেকে নভোএয়ারে যাতায়াত করতে সঙ্গে সবাই হাতপাখা নিয়ে আসবেন।
যাত্রীরা নামার সময় গেটে দাঁড়িয়ে যখন একজন কেবিন ক্রু বিদায় জানাচ্ছিলেন তখন আরেক যাত্রী মোহাম্মদ নুরুন্নবী তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার এসি ঠিক করবেন, না কি যাত্রীরা সঙ্গে করে হাতপাখা নিয়ে আসবেন? এ সময় হাসিমুখে থাকা কেবিন ক্রুটি ছিলেন নির্বিকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post