বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য স্পেন সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হলে দুই দেশের জনগণ, বিশেষত ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হওয়ার প্রত্যাশা বাংলাদেশের।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী মাদ্রিদে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ ধেকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে ভিসা সহজীকরণসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রস্তাবনা স্প্যানিস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) খ্যাভিয়ের মার্তি মার্তির কাছে তুলে ধরেন স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি গন্তব্য স্পেন। এশিয়ায় স্পেনের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার বাংলাদেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান।’
বর্তমানে শুধুমাত্র স্পেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি অভিবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণের আবশ্যকতা আছে।
প্রবাসীদের জন্য এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, দুরূহ ও কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্পেনে বসবাসরত ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী কমিউনিটি। তারা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া ডিজিটালাইজড ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ স্পেন ছাড়া বিশ্বের সব দেশেই স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য।
বর্তমানে যেহেতু বাংলাদেশিদের সব পাসপোর্টই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট, স্পেনীয় কর্তৃপক্ষ যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশ পুলিশের ইস্যুকরা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়িত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে, তাহলে তা প্রবাসীদের ভোগান্তি লাঘবে সহায়ক হবে।’
বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত ও সত্যায়িত প্রবাসীদের বিবাহ সনদকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করার জন্যও স্পেন সরকারকে রাষ্ট্রদূত অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুদক্ষ কর্মী ও পেশাজীবীদের স্পেনে নিয়োগের মাধ্যমে স্বাগতিক অর্থনীতি লাভবান হতে পারে।
স্পেনের গালিসিয়া প্রদেশের কারাগারে আটক পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকের মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন মহাপরিচালক খ্যাভিয়ের মার্তি মার্তি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post