গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহ।
এই দাবদাহে জেলায় ‘হিট অ্যার্লাট জারি’ করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে। এরই মাঝে শনিবার জেলার দামুড়হুদায় হিটস্ট্রোকে জাকির হোসেন নামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দফতরি মারা গেছেন।
এদিন সকাল ৭টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে তিনি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এ সময় কাজ করা অন্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মৃত জাকির হোসেন উপজেলার দর্শনা থানার সীমন্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দফতরি ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা চিল ১৮ শতাংশ।
মৃত জাকিরের বাবা আমির হোসেন বলেন, গরমে মাঠের ধান মরা অবস্থা। জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য জাকির সকাল ৭টার দিকে মাঠে যায়।
যাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে মাঠে স্ট্রোক করেছে। মাঠে অন্য কৃষকরা ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার কথা শুনেছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post