ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে গিলে খাওয়ার চক্রান্ত করছে। সীমান্ত উত্তপ্ত করা হচ্ছে।
ভারতের প্রেসক্রিপশনে দেশ চলছে। এ জন্য দেশ থেকে ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুনকে নিচিহ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। ইসলামের বিধি-বিধান পালন করলে তাদেরকে বিভিন্ন ট্যাগ দেয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, বিরানব্বই ভাগ মানুষের চিন্তা চেতনাকে পাশকাটিয়ে ভিনদেশি ধ্যান-ধারনা, সংস্কৃতি চাপানোর চেষ্টা সুখকর হবে না।
তিনি শিক্ষা সিলেবাসকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান। সেই সাথে শরিফ থেকে শরিফার গল্পের নামে সমকামীতাকে প্রমোট করার চেষ্টা থেকে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধ। হঠ্যাৎ করে তা আদালতের মাধ্যমে চালু করে উত্তপ্ত করে তুলছে কার ইঙ্গিতে?।
মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়।
ছাত্ররা রাজনীতি না চাইলে তাদেরকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসে শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার মানে হয় না। আমাদের পেছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, যারা দেশ পরিচালনা করে, তাদের দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানের অভাব।
তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যেন আবরারদের হত্যাকান্ডের শিকার হতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তিন আরও বলেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ও মস্তানির কারখানায় পরিণত করে শিক্ষার মাজা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো।
চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষার সাথে ধর্মীয় দিক্ষা না থাকলে মানুষ দূর্নীতি মুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামে দিক্ষিত মানুষের বড়ই অভাব।
তাই দেশ আজ দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এজন্য শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকলে দেশের এমন পরিস্থিতি হতো না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post