আউটপাশ নামক সোনার হরিণের জন্য ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের উপচেপড়া ভিড় ছিলো আজ। সকাল থেকেই ওমানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসীরা ট্র্যাভেল পারমিটের জন্য দূতাবাসে আসেন। এদিকে করোনাকালীন এই সময়ে সামাজিক দুরুত্বের তোয়াক্কা না করে প্রবাসীদের এমন ভিড় করাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ দূতাবাসের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।
আরো পড়ুনঃ ওমানের রহস্যময় নগরী সাদ্দাতের বেহেস্ত
গতকাল (১৫-নভেম্বর) ওমান প্রবাসীদের আউটপাশ নামক সোনার হরিণ নিয়ে বিবৃতি জারী করে ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনা জরিমানায় নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে ওমান ত্যাগ করার সুযোগ প্রদান করেছে ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়।
আউটপাশের জন্য প্রবাসীদের সর্বপ্রথম ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mol.gov.om) অথবা নিকটস্থ কোনো সানাদ অফিস হতে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। সেইসাথে যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ নেই অথবা পাসপোর্ট নেই, তারা দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট নবায়ন অথবা ট্র্যাভেল পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজার ওমান
ট্র্যাভেল পারমিটের জন্য দূতাবাসে একটি ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে এবং দূতাবাস হতে প্রদত্ত ডেলিভারীর তারিখে ট্র্যাভেল পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর ফ্লাইটের টিকিট কনফার্ম করে ফ্লাইটের ৭ ঘন্টা পূর্বে মাস্কাট এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে। বিমানবন্দরে অবস্থিত ওমান শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত কাউন্টারে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে:
১, বিমান টিকিট,
২, পাসপোর্ট/ দূতাবাস কর্তৃক স্বাক্ষরিত ট্রাভেল পারমিট,
৩, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট।
আরো পড়ুনঃ মানব সেবার আড়ালে ওমানে কোটি টাকার জালিয়াতি
দূতাবাস হতে ট্র্যাভেল পারমিট অথবা আউটপাশ সংক্রান্ত সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এ কাজে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের সাথে কোন প্রকার অবৈধ লেনদেন করা হতে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস।
আরো দেখুন আজকের বুলেটিনে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post