বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্বের জীবন কাটছে মালয়েশিয়া প্রবাসী হাসান মাহমুদ। বিনা চিকিৎসায় সাত মাস ধরে ক্ষতস্থানে পচন নিয়ে পড়ে আছেন মাহমুদ। মালিকপক্ষ দেশে পাঠানোর কথা বললেও নিচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। ফলে ফিরতে পারছেন না দেশেও।
সংসারে হাল ধরতে মালয়েশিয়ায় যান রাজবাড়ীর ছেলে হাসান মাহমুদ। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তার। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে চিকিৎসক এক্সরে করে দেখে ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে পায়ের মধ্যে ঢুকানো হয় রড। কিন্তু ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ায় হাড় জোড়া লাগার আগেই খুলে ফেলতে হয় রড। ২৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর হোস্টেলে নিয়ে যায় মালিকপক্ষ তাকে।
হাসান মাহমুদ জানান, হাসপাতাল থেকে আসার পর থেকে সাত মাস ধরে দেশে পাঠিয়ে দেবে বললেও নিচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। আমাকে এই ৭ মাস দরে কোম্পানি কোন চিকিৎসা দেয়নি, এমনকি বেতনও দেয়নি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। কারো সাহায্য ছাড়া টয়লেটেও যেতে পারছি না।
কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে। ঢাকার সাউথ পয়েন্ট ওভারসিজের মাধ্যমে লালুয়ান থুলুস এসডিএন বিএইডি নামের একটি কোম্পানির চাকরি নিয়ে যান তিনি।
বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়া যায় হাসান মাহমুদ। স্বপ্ন দেখতেন সংসারে সুদিন ফিরবে তার হাত দিয়ে এবং করবে বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসা, সেই সাথে একমাত্র ছোট বোনের পড়াশোনাও হবে।
ভাগ্যের কাছে হেরে যেতে হয় তাকে হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় তার জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার, সবকিছু হয়ে গেলো দুঃস্বপ্ন। রঙিন স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে পাড়ি দেওয়া হাসানের এখন ক্ষুধা মিটে অন্যের দেওয়া সাহায্যে। এই অবস্থায় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান এ বিষয়ে ভুক্তভোগীকে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেন। প্রবাসী কর্মীদের বেতন না দেওয়া, মৃত্যুজনিত/আহত এই বিষয়গুলো দূতাবাস গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post