ফোনে কথার বলার চেয়ে অনেকেই মেসেজ করতে বেশি পছন্দ করেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মেসেজিং অ্যাপেগুলোতে বিনামূল্যে মেসেজ পাঠানো কিংবা ভয়েস ও ভিডিও কল করা এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধার মত ফিচার রয়েছে।
এমন বেশকিছু অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই অ্যান্ড্রয়েডের পাশাপাশি অন্য অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ
বর্তমান মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ জনপ্রিয়। এই মেসেজিং অ্যাপটি আত্মপ্রকাশ করে ২০১০ সালের ১৮ অক্টোবরে। অ্যাপটি থেকে ভয়েস ও ভিডিও কল-এর পাশাপাশি উন্নত মেসেজিং করা যায়। অ্যাপটির মাধ্যমে গ্রুপ চ্যাটসহ কমিউনিটিজ ও চ্যানেল ফিচার রয়েছে। এই অ্যাপটি মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপেও ব্যবহার করা যায়।
মেসেঞ্জার
মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বলতে গেলে প্রায় একইরকম। মেসেঞ্জার ব্যবহার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো ফোন নম্বর প্রয়োজন হয় না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর দিক থেকে মেসেঞ্জার এগিয়ে আছে। কারণ ফেসবুকের সঙ্গে মেসেঞ্জার যুক্ত থাকায় এর ব্যবহারকারী বেশি। এমনকি ফেসবুক একাউন্ট যদি ডিএক্টিভও থাকে তারপরেও আপনি এই সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।
টেলিগ্রাম
মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের মতোই অনেকটা টেলিগ্রাম । এতে মাল্টিমিডিয়া ফাইল শেয়ারের সুবিধাসহ টেক্সট মেসেজিং, ভয়েস ও ভিডিও কলিংয়ের ফিচারও রয়েছে। টেলিগ্রামের চ্যানেল ফিচারের ব্যবস্থা থাকায় গ্রুপে অনেক বেশি সদস্য যুক্ত করা যায়।
ইমো
ইমো ফ্রি কল ও মেসেজ অ্যাপ হিসেবে বেশ একটি অ্যাপ জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই অ্যাপ। এর সহজ ব্যবহার ও কম স্পিডের ইন্টারনেটেও ভালোভাবে চলার কারণে জনপ্রিয়তা অনেক। ইমো ব্যবহার করে মেসেজের পাশাপাশি ছবি, অডিও কিংবা ভিডিও মেসেজ পাঠানো যায়। শুধুমাত্র ফোন নম্বর দিয়ে লগইন করে আপনি এইসব সুবিধাগুলো পারবেন ইমোতে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post