গত ২৮ বছরে চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ওমান এয়ারসহ ১৭টি বিদেশি এয়ারলাইনস। এর মধ্যে ১৩টিই ইতিমধ্যে ব্যবসা বন্ধ করে চলে গেছে। আর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৮ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে ওমান এয়ারের কার্যক্রমও সাময়িক বন্ধ থাকবে। অথচ এই বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাত্রী চলাচল বেড়েই চলছিলো।
ওমান এয়ারওয়েজের চট্টগ্রাম স্টেশনপ্রধান মো. আসিফ চৌধুরী বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৮ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে ওমান এয়ারের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা থেকে যথারীতি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। শুধু নেটওয়ার্ক রি-রাউটিংয়ের কারণে এই রুটে ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ হচ্ছে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম-মাসকট রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছিল তারা।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তবে, যাত্রীদের চাহিদা থাকলেও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো চলে যাচ্ছে। অথচ বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৫৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প শেষের দিকে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ অবশ্য দাবি করেন, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো অন্য রুটে ভালো ব্যবসা পাওয়ায় সেই রুটে চলে যাচ্ছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যারাবিয়া, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার এবং ফ্লাই দুবাইসহ মোট ছয়টি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাদের মধ্যে ফ্লাইট গুটিয়ে নিতে যাচ্ছে ওমান এয়ার।
বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইনস কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এই রুটে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দিচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post