ভারতে সংকটে পড়া বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনে নিয়ে ক্রেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল টাটা গ্রুপ। এবার দেউলিয়া হওয়া আরেক বিমান সংস্থা গো ফার্স্টকে কিনবে-এ নিয়ে চলছে আলোচনা। গত বছরের মে মাসে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল ভারতীয় বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। দেউলিয়া বিধিতে সংস্থাটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত দুটি আর্থিক দরপত্র জমা পড়েছে।
এর মধ্যে স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহ এবং বিজিবি এয়ারওয়েজের যৌথ পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এসেছে। অন্য দরপত্রটি পেশ করেছে শারজার স্কাই ওয়ান এয়ারওয়েজ। তবে কোনো দরপত্রই গো ফার্স্টের ঋণদাতাদের পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সব দিক খতিয়ে দেখে সংস্থাগুলোকে ফের সংশোধিত দরপত্র পেশ করতে বলতে পারে তারা।
তাতেও কাজ না হলে সংস্থা গোটানোর পথে যেতে হতে পারে ঋণদাতাদের কমিটিকে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, গো ফার্স্ট অধিগ্রহণের জন্য অজয় ও বিজিবি এয়ারওয়েজের কনসোর্টিয়াম এক হাজার ৬০০ কোটি রুপির পুনর্গঠন পরিকল্পনা দিয়েছে।
এর মধ্যে এক হাজার কোটি রুপি ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে, বাকি ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ হবে কম্পানির পুনরুজ্জীবনে। তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সেন্ট্রাল ব্যাংক ও ব্যাংক অব বরোদার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতা গোষ্ঠীর কাছে গো ফার্স্টের ঋণ ছয় হাজার ৫২১ কোটি রুপি।
এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ কোটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত, এরপর বাকি ঋণদাতাদের যুক্ত করলে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৪৬৩ কোটি রুপি। এই গ্রুপের বাইরে স্কাই ওয়ান এয়ারওয়েজও দরপত্র দিয়েছে, যদিও তাদের প্রস্তাবিত অঙ্ক কিছুটা কম। এই পরিস্থিতিতে দুটি দরপত্রে ঋণদাতারা আদৌ সন্তুষ্ট হবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে সংশ্লিষ্ট মহলের।
গত বছরের মে মাসে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে গো ফার্স্ট। প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির থেকে ইঞ্জিন না পাওয়া ও আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণের মতো প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ না থাকায় আর্থিকভাবে বিপদে পড়ে গো ফার্স্ট।
এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা বন্ধের কথা জানিয়েছিল তারা। পরে নতুন করে পরিষেবা চালুর জন্য বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএর কাছে আবেদন করে তারা। শর্তসাপেক্ষে দৈনিক ১১৪টি উড়ান চালানোর জন্য গো ফার্স্টকে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর আগে ভারতের সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া আর্থিক দুর্দশায় পড়ে বিক্রি হয়ে যায়।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৮ হাজার কোটি রুপির বিনিময়ে টাটা গ্রুপের টালাস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post