প্রচলিত বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে চুরি হওয়া অন্তত ২৬ বিলিয়ন নথির একটি ডাটাবেস উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই ডাটাবেসে টুইটার, ড্রপবক্স, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সাইট থেকে চুরি করা সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে। ডাটাবেসের আকার ১২ টেরাবাইট।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সিকিউরিটি ডিসকভারি এবং সাইবারনিউজের গবেষকদের প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফোর্বস এ তথ্য জানায়। খবর এনডিটিভির।
ফাঁস হওয়া রেকর্ডের এই ডাটাবেসটিকে ‘মাদার অব অল ব্রিচ’ অর্থাৎ এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি তথ্য ফাঁস বলে ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, ‘এই ডাটাবেসটি একটি বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার বা ডেটা ব্রোকার দ্বারা সংকলিত।’
গবেষকদের ধারণা, ‘একত্রিত এসব তথ্য পরিচয় চুরি, ফিশিং স্কিম, সাইবার আক্রমণ এবং ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত অ্যাক্সেসসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া এসব ডাটা বা তথ্যের মধ্যে চীনা মেসেজিং জায়ান্ট টেনসেন্ট ও সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম উইবোর ব্যবহারকারীদের রেকর্ডও রয়েছে। পাশপাশি অ্যাডোবি, ক্যানভা ও টেলিগ্রামের মতো সফটওয়্যারের বিভিন্ন তথ্যের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। গবেষকরা আরও বলেছেন, ফাঁস হওয়া এ নথিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানেরও রেকর্ড থাকতে পারে।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো অজ্ঞাত ওই পেজটিতে পাওয়া রেকর্ডের অধিকাংশই পুরনো, চুরি ও ফাঁস হওয়া রেকর্ডের সংকলন। নতুন তথ্যের সংখ্যা বেশ কম।
এর আগে ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন আইওর ওয়েবপেজ থেকে ১ বিলিয়ন নথি ফাঁস হয়েছিল; যা সেসময়ের সবচেয়ে বড় নথি ফাঁসের ঘটনা ছিল। এছাড়াও মাইস্পেস থেকে ৩৬০ মিলিয়ন, টুইটার থেকে ২৮১ মিলিয়ন, লিংকডইন থেকে ২৫১ মিলিয়ন ও অ্যাডাল্টফ্রেন্ড ফাইন্ডার থেকে ২২০ মিলিয়ন নথি চুরির মতো বড়বড় চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post