গাজা উপত্যকার আল–আকসা হাসপাতালের ছয় শতাধিক রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন, কেউই তা জানেন না।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস। খবর আল জাজিরার।
এর আগে আল–আকসা হাসপাতালের পরিচালক জানান, রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালটি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এক্স বার্তায় গেব্রেয়াসুস লেখেন,
আল–আকসা হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির ছয় শতাধিক রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না।
গাজার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমকে ‘অত্যাবশ্যক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন,
হাসপাতাল খালি করার আগে ডব্লিউএইচও’র এক কর্মকর্তা হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে রক্তাক্ত মেঝে আর করিডরে অব্যবস্থাপনার মধ্যেই বিভিন্ন বয়সের রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে।
গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘উত্তর গাজায় কোনো হাসপাতালই ঠিকঠাক কাজ করছে না। বিপদশঙ্কা ও প্রয়োজনীয় অনুমতির অভাবে সেখানে ডব্লিউএইচও’র আরও একটি মিশন বাতিল করা হয়েছে। গাজার শুধুমাত্র কিছু জায়গায় মেডিকেল কার্যক্রম চলছে।’
এক্স বার্তায় গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘গাজায় এই রক্তপাত বন্ধ হওয়া উচিত।’
এর আগে, গত দুই দিনে গাজার আল–আকসা হাসপাতাল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নেয় মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টানিয়ানস (এমএপি), ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) ও ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post