ধরুন, এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন সূর্য গায়েব হয়ে গেছে! কী হবে তখন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আপনি বুঝতে পারার আরও অন্তত ৮ মিনিট আগে সূর্য গায়েব হয়ে গেছে। কারণ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় লাগে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ডিসকোভারি জানিয়েছে, পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস হচ্ছে সূর্য। সূর্যই প্রতিটি গ্রহকে তাপ ও আলো সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু কোনো কারণে সূর্য যদি অদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে নেমে আসবে ঘোর অন্ধকার। এবং ক্রমশ শীতল হয়ে আসবে এ পৃথিবী।
আরও একটি ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে। সেটি হচ্ছে, সৌরজগতের গ্রহগুলো কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়বে। কারণ সৌরজগতের ভরকেন্দ্র হচ্ছে সূর্য। সূর্যকে কেন্দ্র করেই গ্রহগুলো নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরছে। সূর্যের রয়েছে মহাকর্ষ বল। সেই বলের টানেই সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘুরছে। এখন সেই মহাকর্ষ বল যদি অদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে গ্রহগুলোর ছিটকে পড়াই তো স্বাভাবিক।
এরপর পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে ধীরে ধীরে। সূর্যের আলো যদি না আসে, সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ হয়ে যাবে। আর সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ হয়ে গেলে গাছপালা মারা যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে অক্সিজেন উৎপাদন, বেড়ে যাবে কার্বনডাইঅক্সাইড। তবে সব গাছ অবশ্য একসঙ্গে মারা যাবে না। কারণ কিছু কিছু বৃহদাকার গাছ সালোকসংশ্লেষণ ছাড়াই কয়েক দশক পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্য অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর পৃথিবীর তাপমাত্রা কমতে কমতে মাইনাস ১০০ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে আসবে। তখন মানুষ মরতে শুরু করবে। আর সূর্য অদৃশ্য হওয়ার দুই মাসের মধ্যে সমুদ্রের উপরিভাগ বরফ হয়ে যাবে। বায়ুমন্ডল ভেঙে পড়বে। তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করে পৃথিবী হবে একটা বর্জ্যের ভাগাড়ের মতো।
তবে এখনই অবশ্য ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্য অদৃশ্য হওয়ার এখনও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post