২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০৩৪ সালে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে সৌদি আরব। এ কারণে কন্সট্রাকশন, ক্লিনিং, মেনটেইনেন্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরে দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবে আসলে সম্মানজনক কাজ ও কয়েকগুণ বেশি বেতন পাওয়া যাবে। ফলে আরও বেশি হারে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে পরিবার ও দেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা সম্ভব।
জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি এসব কথা বলেন। প্রবাসীদের সৌদি আরবে আসার সময় কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে আসার জন্য আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। প্রবাসীরা ২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে যা মোট রেমিট্যান্সের ১৬ শতাংশ।
রাষ্ট্রদূত বলেন বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মীদের শিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যস্থতায় গত বছর বিএমইটি এবং সৌদি সরকার অনুমোদিত তাকামোল ফর বিজনেস সার্ভিস কোম্পানির মধ্যে দক্ষতা যাচাই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় কর্মীরা ২৯টি পেশায় বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ নিয়ে অধিক বেতনে সৌদি আরবে কাজ করতে পারবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post