গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন মোহান্নাদ ইউসেফ হাসান আল হিন্দির মৃত্যুতে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা বা দায় ছিল কি না– সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
সম্প্রতি এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) মতামত চেয়েছে।
পিবিআই’র বিশেষায়িত তদন্ত ও অপারেশন্স শাখার (সংঘবদ্ধ অপরাধ–উত্তর) এসআই মো. নুরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তকালে চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ মতামত দিতে পারে না।
তাই তদন্তে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ আদালতের কাছে উপস্থাপন করে এ ব্যাপারে বিএমডিসির মত দেওয়া প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। আদালত এ পর্যন্ত দু’বার বিএমডিসিকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মতামত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। তবে বিএমডিসির পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন মোহান্নাদ ইউসেফ হাসান আল হিন্দি কর্তব্যরত অবস্থায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের চিফ কনসালট্যান্ট ডা. মো. ওমর ফারুকের অধীনে ভর্তি ছিলেন।
মৃত পাইলটের বোন তালা আল হিন্দি জোসেফানো ওই চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে গত বছরের মার্চে ঢাকার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত পিবিআই ও বিএমডিসিকে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীণ কোনো তদন্ত হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তদন্ত হয়ে থাকলে সেই প্রতিবেদনের কপি দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা কোনো উত্তর না দেওয়ায় বিমানবন্দরে হিন্দির সঙ্গে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post