ফ্রান্সে মানব পাচারের সন্দেহে আটক বিমানের ২৭৬ জন যাত্রীকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জন গুজরাটের বাসিন্দা। যাত্রীদের তালিকায় এক শিশুও ছিল, কিন্তু তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। পিতা-মাতা পরিচয়হীন নিখোঁজ শিশুটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। হদিশ না মেলায়, তাকে পাচার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা।
শিশুর খোঁজে সক্রিয় গুজরাট পুলিশ
বিমান থেকে শিশু নিখোঁজের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অতি সক্রিয় হয়েছে গুজরাট পুলিশ। শিশুটির আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করেছে তারা। সেই সঙ্গে গুজরাটের বাসিন্দা শিশুটির বাবা-মার হদিশ পেতে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। কয়েকদিন আগে আমেরিকা-কানাডা সীমান্ত এলাকায় প্রচুর শিশু পাচারের খবর পাওয়া গেছে। ২ বছরের শিশুটিকেও পাচার করা হতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
শিশু পাঁচারের সঙ্গে এজেন্টরা জড়িত থাকার অভিযোগ
জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের তালিকায় নাম ছিল গুজরাটের ২ বছরের শিশুটির। ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে তাকে নবালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গুজরাটের মেহসানা এবং গান্ধীনগর এলাকায় শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত এজেন্টদের রমরমা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহিলা ও পুরুষ জোগার করে।
তাদের দম্পতি সাজিয়ে শিশু পাচারের পরিকল্পনা নেয়। পাচার করা শিশুদের নিজেদের সন্তান বলে পরিচয় দিয়ে থাকে তারা। বিশেষ করে গুজরাট থেকে আমেরিকা বা অন্য দেশে যেতে ইচ্ছুক পুরুষ ও মহিলাদের টার্গেট করা হয় বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আমেরিকার সীমান্তে ভারতীয় শিশুদের পাওয়া যাচ্ছে
শুধু গুজরাটের ২ বছরের শিশু নয়, আরও ৩ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাকি নিখোঁজদের মধ্যে একজনের বয়স ১০ এবং বাকি ২ জন ১৭ বছর বয়সী ছেলে। তাদেরও সঙ্গিহীন বলে যাত্রী তালিকায় দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন তথ্য অনুযায়ী পাঁচারের জল্পনা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৭৩০ জনেক বেশি ভারতীয় শিশুকে আমেরিকা-কানাডা সীমান্তে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। যা, ২০২০ সালেরে আগের তুলনায় প্রায় ২৩৩ শতাংশের বেশি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ৭৮টি শিশু পাওয়া গিয়েছে
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন সীমান্তে উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ শিশুর বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। চার বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকে উদ্ধারের ঘটনাও ঘটে। শুধু মাত্র ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৭৮জন শিশুকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৭৩ জনকে পাওয়া গেছে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে। বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয় আমেরিকা-কানাডা সীমান্ত থেকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post