ওমানে আগামী পহেলা জানুয়ারী থেকে অভিযান চালু হওয়ার খবরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিশেষভাবে সময় নির্দিষ্ট করে কোনো অভিযানের ব্যাপকতা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানা গেছে। মূলত প্রবাসীদের কর্মস্থলে তদারকি বাড়াতে গত ১১ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয় ও সিকিউরিটি এন্ড সেফটি কর্পোরেশন একটি যৌথ ইউনিট গঠনের চুক্তি করে। এই ঘটনার পর থেকেই প্রবাসী কমিউনিটিতে বাড়তে থাকে উদ্বেগ।
প্রবাস টাইমের নিজস্ব অনুসন্ধানে পহেলা জানুয়ারি থেকে বিশেষ অভিযান শুরুর বিষয়ে সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে আগে থেকেই চলা শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত অভিযানের পরিধি কিছুটা বাড়বে বলেই ধারণা পাওয়া গেছে। এছাড়া বছরের শুরু থেকেই প্রবাসীদের নিয়ে আরও কঠোর হওয়ার যে আভাস পাওয়া গিয়েছিলো সেটিও আর আলাদাভাবে কার্যকর না হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কমিউনিটির প্রবীণ নেতারা বলছেন, বহুবার ওমান সরকার অভিযানের পরিধি বাড়ালেও তাতে প্রবাসীদের খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। বাংলাদেশিদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। তবে বাঙালিদের ওমানি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করার প্রবণতা খুবই কম। এজন্যই অনেকে ঝামেলায় পড়েন। বড় বিপদ আসার সম্ভাবনা না থাকলেও সবাইকে যতদ্রুত সম্ভব বৈধ কাজ খুঁজে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর গোপন বাণিজ্য এবং অবৈধ প্রবাসী শ্রমিকদের রুখতে যৌথ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শ্রম মন্ত্রী ডক্টর মাহাদ বিন সাইদ এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ বিন আলি আল হারথি এই ইউনিট গঠনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post