এই ঋণে সিভিল ওয়ার্কসের জন্য বার্ষিক সুদহার হবে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর পরামর্শ সেবার সুদহার শুন্য দশমিক ২০ শতাংশ। বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ৭৬.৬৩৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন ঋণ প্রদান করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কার্যালয়ে রোববার এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জাইকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ঋণে সিভিল ওয়ার্কসের জন্য বার্ষিক সুদহার হবে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর পরামর্শ সেবার সুদহার শুন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণের সময়কাল ৩০ বছর, গ্রেস পিরিয়ড আরও ১০ বছর।
জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এই ঋণচুক্তি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং (টার্মিনাল ৩), নতুন কার্গো কমপ্লেক্স ও বহুস্তরবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এই ঋণের অধীনে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট মোডের সাথে যোগাযোগ, পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মত সুবিধা তৈরিতে অর্থায়ন করা হবে।
জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এটি কেবলমাত্র ক্রমবর্ধমান চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে।”
জাইকার ঋণ সহায়তায় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালার বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ প্রায় শেষ। গত অক্টোবরে থার্ড টার্মিনালের ‘সফট ওপেনিং’ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরের শেষ নাগাদ টার্মিনালটি যাত্রীসেবার জন্য খুলে দেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
জাপানের মিৎসুবিশি, ফুজিটা ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং যৌথভাবে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। থার্ড টার্মিনালকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ওই দিকে আরেকটি মেট্রোরেল রুট চালু হলে সেটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে এই টার্মিনাল। এই টার্মিনাল থেকে আশকোনায় অবস্থিত হজ ক্যাম্প ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাতায়াতের জন্য পৃথক রাস্তা ও টানেলের কাজ চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post