চলতি মাসের শুরুর দিকে জাপানের উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইদো দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে শত শত টন মরা মাছ ভেসে আসে। এটি ছিল একটি বিরল ঘটনা, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অ্যাম্বারজ্যাক ও অন্যান্য শিকারী মাছের তাড়া খেয়ে মাছগুলো আটকা পড়ে। তাছাড়া পানির তাপমাত্রাজনিত কারণেও মাছের মৃত্যু হতে পারে।
দেশটির স্থানীয় এক মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনার নিশ্চিত কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। ওই স্থানের পানির পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয় নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন জাপানি কর্মকর্তারা। কারণে তাদের প্রতিবেদনে ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিত্যাক্ত পানি ফেলের সঙ্গে এই ঘটনাকে সম্পর্কিত করা হয়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা এই ধরনের ঘটনা আগে কখনো দেখেননি।
এর আগে জাপানের হাকোডেট ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ তাকাশি ফুজিওকা বলেন, ‘মাছগুলো মূলত জাপানি সার্ডিন (দৈর্ঘ্যে ১৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটার) এবং চব ম্যাকেরেল (২৭ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার লম্বা)।
ফুজিওকা বলেছেন, হোনশুর মূল দ্বীপের দিকে যাওয়ার পথে মাছগুলো হঠাৎ করে ঠান্ডা পানিতে ঢুকে পড়ার কারণে দুর্বল হয়ে মারা গেছে। অন্য কারণ হতে পারে, বড় মাছ তাড়া করার সময় মাছগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়ে অথবা বিশাল ঝাঁক বেধে চলার সময় অক্সিজেনের অভাব হয়।
ফুজিওকা আরও বলেন, এর আগে এই ধরণের ঘটনা শুনেছেন, তবে বাস্তব জীবনে কখনও দেখেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post