বেবিচকের নিয়মানুযায়ী, বৈমানিক হতে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞানে পড়তে হয়। কিন্তু বিজ্ঞানে না পড়েও জাল সনদ জমা দিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমানের বৈমানিক হিসেবে নির্বাচিত হন এয়ারলাইন্সটির সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী সাদিয়া আহমেদ। ২০০১ সালে তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাসের সনদ জমা দেন।
সাদিয়া প্রথমে জিএমজি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে নিয়োগ পেলেও পরবর্তীতে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি নেন। এসব জায়গায় প্রায় ১০ বছর চাকরি করেছেন। বিমানে যোগদানের আগে জাল সনদের ম্যাধমে বৈমানিক হওয়া সাদিয়া আকাশে উড়েছেন। যদিও পরবর্তীতে এসব এয়ারলাইন্স থেকে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই জাল সনদ দিয়ে কিভাবে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স পেলেন সাদিয়া সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। তাছাড়া এর সঙ্গে বেবিচকের কোনো চক্র জড়িত আছেন কিনা তাও তদন্তের দাবি রাখে। তা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বৈমানিকের হাতে পড়ে শতশত যাত্রী প্রাণ হারাতে পারেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিমান কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম বৈমানিক সংকট দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়। বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য ৫ বছরের চুক্তিতে ৮ জন ক্যাপ্টেন ও ৬ জন ফাস্ট অফিসার নিয়োগ করতে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিমান। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজনের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদের মধ্যে অন্যতম সাদিয়া আহমেদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post