মৃত মানুষকে কেউ যদি স্বপ্নে দেখেন, এটা খারাপ নয়, ভালো দিক। ইসলামে এমন কোনও বিষয়ে স্বপ্ন দেখলে এর বিধান বা এটা নাজায়েজ নয়। এতে খারাপ কোনো সংকেতও নেই।
বিখ্যাত স্বপ্ন বিশারদ ইবনে শিরিন রহ. এটাকে ভালো সংকেত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং এটা ভালো বিষয়। তাই এই স্বপ্ন খারাপ কোনো নির্দেশনা বহন করে না।
স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিকে হাসতে দেখলে যেমন ভালো কোনও বিষয়ের ইঙ্গিত হতে পারে। আবার এমন স্বপ্ন থেকে একটি বার্তাও পাওয়া যায়, সমাজে মানুষের সঙ্গে চলতে তাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবে। শত্রু থেকে থাকলে তার যে কোনও ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকবে।
স্বপ্নে আপনি যাকে হাসতে দেখেছেন সে মৃত ব্যক্তি যদি সতকর্মশীল হয়ে থাকে, তাহলে এটাও হতে পারে সে পরকালীন জীবনে ভালো আছে। তখন অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। দুনিয়াতে সে যেভাবে আল্লাহর বিধান মেনে চলেছে আপনাকেও তেমন আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে জীবন পরিচালনা করতে হবে। মনে করবেন এটাও আপনার জন্য একটি সতর্কতা।
সত্য ও ভালো স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর পক্ষ থেকে মনে করা ও আল্লাহর শুকরিয়া করা। আর মন্দ স্বপ্ন দেখলে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, নবী করিম সা. বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি এমন কোনো স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সুতরাং তার উচিত আল্লাহর প্রশংসা আদায় করা ও অন্যদের স্বপ্ন সম্পর্কে বলা। কিন্তু সে যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে অপছন্দ করে তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। সুতরাং তার উচিত এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া। কাউকে এ স্বপ্ন সম্পর্কে না বলা। এমন করলে তার কোনো ক্ষতি হবে না।’ (বুখারি ৬৫৮৪; মুসলিম ৫৮৬২)
হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত। রসুল সা. বলেন, ‘তিন ব্যক্তি থেকে (হিসাব-নিকাশের) কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে, ১. ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ-না সে জাগ্রত হয়। ২. নাবালেগ, যতক্ষণ-না সে বালেগ হয়। ৩. পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ-না সে সুস্থ হয়। (তাহাবি, হাদিস ৩০২৮, আবু দাউদ, হাদিস ৪৪০৫, তিরমিজি, হাদিস ১৪২৩, সুনানে দারা কুতনি, হাদিস ১৭৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৯৪০)
হযরত কাতাদা রা. বলেন, রসুল সা. বলেছেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থার কোনো ভুল হলে এতে কোনো গুনাহ নেই, তবে সজাগ অবস্থায় হলে গুনাহ হবে। (মুসলিম, হাদিস ১৫৯৪, ইবনে খুজাইমা ৯৮৯, ইবনে হিব্বান, হাদিস ১৪৬০, তাহাবি, হাদিস ৯০২, আবু দাউদ, হাদিস ৪৪১)
কেননা, এতে স্বপ্ন দেখা ও বলার মাঝে সময়ের ব্যবধান কম থাকে। ফলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। (উমদাতুল কারি ২৪/১৭১; ইরশাদুস সারি ১৪/৪৯০; ফাতহুল বারি ১২/৪৫৮)
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পরপর সাহাবায়ে কেরাম থেকে স্বপ্ন শুনতেন। তার তাবির বা ব্যাখ্যা বর্ণনা করতেন। কেউ স্বপ্নের ব্যাখ্যা বা তাবির জানতে চাইলে তার জন্য স্বপ্ন বলার উত্তম সময় এটিই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post