এগারোটি আলাদা আলাদা রঙে দেখা মিলল সূর্যের। সূর্যকে এত রূপে কেউ দেখেনি সম্ভবত। আর তা সম্ভব হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) কল্যাণে। সূর্যের ছবি তুলে পাঠাল আদিত্য এলওয়ানের টেলিস্কোপ। সোলার আলট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ তাক করা আছে সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ারে। আর সেখান থেকেই সূর্যের নানা রঙের ছবি তুলে আনল ইসরো।
ইসরো জানিয়েছে, সৌরযান আদিত্য এলওয়ানের সঙ্গে রয়েছে এ সুট টেলিস্কোপ। গত ২০ নভেম্বর সুটের পাওয়ার অন করা হয়। ৬ ডিসেম্বর প্রথম ছবি তোলে সুট। ১১ ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি তুলেছে আদিত্যর টেলিস্কোপ। সোলার আলট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপের ক্যামেরায় সূর্যের বিভিন্ন রূপ ধরা পড়েছে।
![সূর্যের এমন ১১ রূপ আগে দেখেনি কেউ সূর্যের এমন ১১ রূপ আগে দেখেনি কেউ](https://www.nayashatabdi24.com/assets/news_photos/2023/12/09/image-158301-1702094606.jpg)
এ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপের পাঠানো ছবি ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করবে। বিশেষ করে সূর্যের চুম্বকীয় বায়ুমণ্ডলের গতিবিধি বুঝতে এ ছবিগুলি সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পৃথিবীর জলবায়ুর উপর সৌর বিকিরণের প্রভাবের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতেও সাহায্য করবে বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
![সূর্যের এমন ১১ রূপ আগে দেখেনি কেউ সূর্যের এমন ১১ রূপ আগে দেখেনি কেউ](https://www.sherpurnews.com/media/imgAll/2020Aprila/SM/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B0%E2%80%8C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-2312090329-SM.jpg)
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, সূর্যের কাছে গিয়ে কেমন ছবি তুলে পাঠাল ইসরোর টেলিস্কোপ। প্রসঙ্গত, ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ওয়ানের সঙ্গে থাকা এ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ সুট তৈরি করা হয়েছে পুনের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে। এ হাইটেক টেলিস্কোপ তৈরির কাজে সাহায্য করেছে ইসরো, দ্য মণিপাল একাডেমি অব হায়ার এডুকেশন, কলকাতা IISER-এর সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স ইন্ডিয়ান, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, উদয়পুরের সোলার অবজারভেটরি (ইউএসও-পিআরএল) এবং আসাম তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post