গুগলের ডিপমাইন্ডের এই উদ্ভাবন ২০ লাখেরও বেশি নতুন উপাদানের সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। এটি আমাদের জীবনযাত্রার অনেক ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে গুগলের মালিক কোম্পানি অ্যালফাবেট বলেছে কোম্পানিটি তাদের সম্ভাব্য প্রায় চার লাখ উপাদানের নকশা ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে সেগুলোকে সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
গবেষণাটির সম্ভাব্য প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি, সোলার প্যানেল এবং কম্পিউটার চিপের উৎপাদন।
নতুন উপাদানের আবিষ্কার এবং উৎপাদন একইসঙ্গে ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বর্তমানে ফোন, ল্যাপটপ এবং বৈদ্যুতিক গাড়িসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসার পূর্বে তা নিয়ে গবেষণা চলেছে দুই দশক ধরে।
ডিপ মাইন্ডের একজন বিজ্ঞানী একিন ডগাস কুবাক বলেছেন, “আমরা আশা করছি, পরীক্ষা, স্বয়ংক্রিয় নকশা এবং মেশিন লার্নিং মডেলে বড় ধরনের অগ্রগতির ফলে সেই ১০ বা ২০ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষাকে উল্লেখযোগ্য আকারে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরটরিতে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দলের ৫০ হাজার জানা উপাদান নিয়ে তৈরি ম্যাটিরিয়াল প্রোজেক্টের ডেটা ব্যবহার করে ডিপ মাইন্ডের এআই মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গুগল তাদের এই গবেষণার ডেটা তারা গবেষক মহলে প্রকাশ করবে এবং কোম্পানিটি আশা করছে এতে নতুন উপাদান আবিষ্কার ত্বরান্বিত হবে।
“যখনই ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারটি সামনে আসে তখনই এক ধরনের অনীহা দেখা যায় ইন্ডাস্ট্রিতে, এবং একটি নতুন উপাদানের বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ী হতে বেশ সময় লাগে,” বলেছেন ম্যাটিরিয়াল প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস্টিন পার্সসন। নতুন উপাদানের স্বায়িত্ব যাচাইয়ে এআই ব্যবহারের পর ডিপ মাইন্ড জানিয়েছে, তারা এবার আরও সহজে সেগুলো তৈরির দিকে মনযোগ দিচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post