অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম আর একনিষ্ঠতা সবসময়ই সফলতার দিকে নিয়ে যায়, তারই এক জলজ্যান্ত প্রমাণ ওমানের বাংলাদেশি সফল ব্যবসায়ী মো. ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি। সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে টানা ৯ বারের মত সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন এই ওমান প্রবাসী। আড়াই দশক আগে সাধারণ শ্রমিক ভিসায় ওমান গিয়ে আজ নিজেকে সফলতার অনন্য শিখরে নিয়ে গেছেন।
চট্টগ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন মাত্র ২১ বছর বয়সে শ্রমিক ভিসায় ওমান পাড়ি জমান। চাকরির ফাঁকে সেখানেই নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। সাধ্যমতো টাকা জমাতে থাকেন। দুই বছরের মাথায় নিয়োগদাতার লাইসেন্স নিয়ে প্রথমে আসবাবের সরঞ্জাম বেচাকেনার ব্যবসা শুরু। পরে লাভের টাকায় নিজের পুরনো কর্মস্থলের পাশেই ছোট একটি দোকান ভাড়া নেন। আজ তার তিনটি ব্র্যান্ডসহ ওমানজুড়ে ১২টি শোরুম আছে। পাশাপাশি হিমায়িত মাছের ব্যবসাতেও সফল হয়েছেন। সেই ইয়াসিন এখন বছরে শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেন।
কাজ না যেনে ওমান যেয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেক বাংলাদেশি। অদক্ষ হয়ে কিংবা দালালের মাধ্যমে বিদেশ না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন বিদেশগামীদের। ইয়াসিন চৌধুরী জানান, নিজে একসময় কর্মী হিসেবে কষ্ট করে দিন কাটিয়েছেন। সে জন্য অন্য প্রবাসীদের দুঃখ-কষ্টও তাঁকে নাড়া দেয়। সে জন্য প্রবাসীদের সহায়তা করতে ২০১৫ সালে গঠন করেছেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমান। সংগঠনটি থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য প্রবাসীর মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
প্রবাসীদের চিকিৎসাসহ নানা দুর্দশায় আর্থিক সহযোগিতা দেয় এই সংগঠন। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ ছাড়া এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনেরও সাধারণ সম্পাদক তিনি। নিজের সফলতা নিয়ে প্রবাসী ইয়াসিন চৌধুরী বলেন, কঠোর পরিশ্রমের সাথে সততা থাকলে একজন সাধারণ শ্রমিকও একদিন রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হতে পারে।
https://www.youtube.com/watch?v=8YKP54aijQw
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post